ড্রাগন ফল এক প্রজাতির ফল।এটি এক ধরণের ফণীমনসা প্রজাতির ফল।এই ফল মুলত ড্রাগন ফল হিসেবে পরিচিত।যার বৈজ্ঞানিক নাম Hylocereus Undatus. ড্রাগনের মত দেখতে এর শরীর।যার কারণে এর নাম ড্রাগন ফল। এক এক দেশে এক এক নামে ডাকা হয় এই ফলটিকে।গণচীনের লোকেরা আগুনে ড্রাগন ফল এবং ড্রাগন মংক্তার ফল,থাইল্যান্ডে ড্রাগন স্ফটিক নামে পরিচিত এবং স্বদেশীয় নাম হলো স্ট্রবেরী নাশপাতি বা নানেট্টিকাফল।এই ফলটি একাধিক রঙের হয়ে থাকে।তবে লাল রঙের ড্রাগন ফল বেশি দেখা যায়। ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ড্রাগন বিদেশি ফল হলে ড্রাগন ফলের সতেজ করা স্বাদ ও পুষ্টিগুণের জন্য বাংলাদেশেও এই ফল চাষ হচ্ছে।আর পুষ্টিগুণ কমলা বা গাজরের চাইতে বেশি।ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও ড্রাগন ফল ভূমিকা রাখে।এই ফল খেলে বয়স বাড়ায় চিহ্ন দূর করবে। প্রতি ১০০গ্রাম ড্রাগন ফলে রয়েছে- পানি - ৮০-৯০গ্রাম শকরা - ৯-১০গ্রাম প্রোটিন - ০.১৫-০.৫গ্রাম আঁশ - ০.৩৩-০.৯৯গ্রাম খাদ্যশক্তি - ৩৫-৫০কিলোক্যালরি চর্বি - ০.১০-০.৬গ্রাম ক্যালসিয়াম - ৬-১০মি.গ্রাম আয়রন - ০.৩০-০.৭মি.গ্রাম ফসফরাস - ১৬-৩৫মি.গ্রাম ক্যারোটিন - ভিটামিন-এ থায়ামিন,রিবোফ্লাবিন সামান্য ভিটামিন-বি-৩ - ০.২-০.৪ম
করমচা মানবদেহে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে পুষ্টি উপাদান করমচা ফল হিসেবে বেশ অবহেলিত হলেও এর পুষ্টিগুণ কিন্তু মোটেও অবহেলা করার মতো না! প্রতি ১০০ গ্রাম করমচায় রয়েছে- এনার্জি- ৬২ কিলোক্যালরি কার্বোহাইড্রেট - ১৪ গ্রাম প্রোটিন- ০.৫ গ্রাম ভিটামিন এ- ৪০ আইইউ ভিটামিন সি- ৩৮ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেভিন- ০.১ মিলিগ্রাম নিয়াসিন- ০.২ মিলিগ্রাম আয়রন- ১.৩ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম- ১৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম- ২৬০ মিলিগ্রাম কপার- ০.২ মিলিগ্রাম করমচার নানা গুণাবলি আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। টক জাতীয় ফল করমচা। কাঁটায়ভরা ঝোপ জাতীয় গাছটির লালচে সবুজ ফল গ্রাম থেকে শহর সবজায়গায় চাষ করা হচ্ছে।বেটা-ক্যারোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিনের মতো উপাদান ছাড়াও এতে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রণের মতো খনিজ উপাদান। আর পুষ্টিবিদরা বলছেন, ক্যালরি কম থাকায় এই ফলটি মানবদেহের রক্তচলাচল স্বাভাবিক রেখে হৃদপিণ্ডের সুরক্ষায় কাজ করে। টক স্বাদের ছোট্ট ফলটি বহির্বিশ্বের বেঙালকারেন্ট বা ক্রিসথর্ণ হলেও বাংলায় মেলে করমচা নামে। ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ আর পাকলে ম্যাজেন্ডা রং ধারণ করে। কাঁটাযুক্ত গুল্ম জাতী